বিপিএলের গ্রুপ পর্ব এখন প্রায় শেষের পথে। চূড়ান্ত হওয়ার পথে শীর্ষ চার দল। টুর্ণামেন্টে নিজেকে মেলে ধরছেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব টানা দুই ম্যাচে করেছেন হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দারুণ খেলছে বরিশাল। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩২ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে এককভাবে জায়গা করে নিয়েছে বরিশাল। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে বরিশালের পয়েন্ট ১১। ৭ ম্যাচে দুই হারে কুমিল্লার পয়েন্ট ৯। প্রথম পর্বের ম্যাচে ইমরুল বাহিনীর কাছে ৬৩ রানে হেরেছিল সাকিব বাহিনী। গতকাল হারের প্রতিশোধ নিয়েছে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স ১৫ রানে হারিয়েছে রবি বোপারার সিলেট সানরাইজার্সকে। খুলনার ৩ উইকেটে ১৮২ রানের জবাবে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৬৭।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান করে বরিশাল। ৪ নম্বরে ব্যাটিংয়ে সাকিব ৫০ রান করেন মাত্র ৩৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায়। আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও ৫০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন বরিশাল অধিনায়ক। বিপিএলে এখন পর্যন্ত সাকিব ৭ ম্যাচে ১৩৩.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৮৭ রান করেছেন। তিন অংকের জাদুকরি ইনিংস না থাকলেও পঞ্চাশের ইনিংস রয়েছে দুটি। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছাড়াও রান করেছেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। ৪৫ রান করেন মাত্র ২৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। আবারও ব্যর্থ হয়েছেন ‘ইউনিভার্সাল বস’ ক্রিস গেইল। গতকাল সাজঘরে ফিরেন মাত্র ১০ রানে। আগের ৫ ম্যাচে তার স্কোরগুলো ৩৬, ৭, ৪৫, ৪ ও ২৫। ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ১টি।
জিততে কুমিল্লার টার্গেট ১৫৬। নাঈম হাসান ও সাকিবের ঘূর্ণি ও ব্রাভোর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রানের বেশি করতে পারেনি ইমরুল বাহিনী। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। লিটন দাস ১৯, আফগান অলরাউন্ডার করিম জান্নাত ১৭ ও তানভীর ২১ রান করেন। নাঈম উইকেট নেন ৩টি। ম্যাচসেরা সাকিব ২০ রানের খরচে সাজঘরে ফেরান লিটন ও ইমরুলকে। আসরে সাকিবের উইকেট ১২টি। ২ উইকেট নিয়ে তার পাশে নাম লিখেছেন ব্রাভোও। মুস্তাফিজের উইকেটও ১২টি।
Comments
Post a Comment